আপনি আজ 0 বার পাঠ করেছেন

Hanuman Chalisa In Bengali | হনুমান চালিশা বাংলা অনুবাদ

হনুমান চালিশা বাংলা অনুবাদ | Hanuman Chalisa In Bengali এই নিবন্ধটিতে আপনি হনুমান চালিশা সন্বন্ধে সম্পূর্ণ তথ্য পাবেন। হনুমান চালিশা হল একটি ভক্তিমূলক স্তোত্র যা পবনপুত্র ভগবান হনুমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে। পবনপুত্র হনুমান একজন হিন্দু দেবতা যিনি তাঁর শক্তি, সাহস এবং ভক্তির জন্য শ্রদ্ধেয়।

হনুমান চালিশা আওয়াধি ভাষায় রচিত এবং এতে ৪০টি (40) শ্লোক বা চৌপাই বা পংক্তি রয়েছে। আমরা এখানে হনুমান চালিশার বাংলা অনুবাদ (Hanuman Chalisa in Bengali) করবো এবং হনুমান চালিশা এর বাংলা অর্থ ( Hanuman Chalisa Bengali Meaning ) ব্যাখ্যা করবো।

হনুমান চালিশার বাংলা অর্থ বাঙালি ভক্ত বা বাঙালি পাঠকের মনে জ্ঞানের আলো জ্বালাবে ও মানসিক দৃঢ়তা প্রদান করবে। হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা সন্বন্ধে সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা একদম শেষে আলোচনা করা হয়েছে।

হনুমান চালিশা ভগবান হনুমানের ভক্তদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এবং প্রায়ই প্রার্থনা বা ধ্যানের একটি রূপ হিসাবে জপ করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান চালিশা পাঠ করলে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্য আসে। আবার, অনেক সময় দেখা গেছে এই যে, ভক্তরা বিপদ থেকে রক্ষা পাবার জন্যও হনুমান চালিশা পাঠ করে থাকেন।

হনুমান চালিশা মন্ত্র বাংলা অনুবাদ
হনুমান চালিশা মন্ত্র বাংলা অনুবাদ – Hanuman Chalisa Bengali Lyric

হনুমান চালিশা বাংলায় ( Hanuman Chalisa in Bengali ) পাঠ করলে, ভক্তের মন ও দেহের বিকাশ ঘটে এবং মনে শান্তি আসে। হনুমান চালিশা পাঠ আকস্মিক হিংসাত্মক চিন্তা গুলিকে প্রতিরোধ করে এবং শান্তি ও সম্প্রীতির প্রচার করে।

আমরা এই নিবন্ধটিতে শুধুমাত্র হনুমান চালিশা বাংলা অনুবাদ ও অর্থ ব্যাখ্যা করবোনা, এখানে আমরা হনুমান চালিশার অর্থ বুঝে পাঠ করার সুবিধা ও গুরুত্বও আলোচনা করবো। এবং হনুমান চালিশা মন্ত্র পাঠ করার নিয়মও আলোচনা করবো।

তাই আশা করছি, এই নিবন্ধটি একজন প্রকৃত হনুমান ভক্তকে তার ভগবান হনুমান এর সন্বন্ধে যথেষ্ট আলোকিত করবে, এবং ভক্ত ও ভগবানের মধ্যের সম্পর্কটিকে আরো মজবুত করবে।

Contents

সম্পূর্ণ হনুমান চালিশা বাংলা অনুবাদ ( Hanuman Chalisa in Bengali )

আপনি হনুমান চালিশা বাংলায় পাঠ শুরু করুন, তার আগে অবশই এই জিনিসটা জেনে নিন। হনুমান চালিশা মহাকবি তুলসীদাস রচনা করেছেন, এবং তিনি পবনপুত্র হনুমানজিকে এটি উৎসর্গ করেছেন। কবি তুলসীদাস তাঁর নিজের ভক্তি নিবেদন ও প্রার্থনা করেছেন বিপদসংহার হনুমানজির কাছে।

তাই শেষে নিজের নামও উল্লেখ করেছেন। অতএব আপনি যে হনুমান চালিশা বাংলায় পাঠ করবেন, সেটাকে আপনার তরফ থেকে হনুমানজিকে নিবেদন করতে হলে, সর্বশেষে কবি তুলসীদাসের পরিবর্তে নিজের নাম উল্লেখ করে হনুমানজির জয় জয়কার ও প্রণাম করবেন।

তাহলে হনুমান চালিশা পাঠ করা সার্থক হবে আপনার।

সম্পূর্ণ হনুমান চালিশা বাংলা দোহা ( Hanuman Chalisa Bengali Doha )

হনুমান চালিশা বাংলা দোহাহনুমান চালিশা বাংলা দোহার অর্থ
শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ নিজমন মুকুর সুধারি ।আমার গুরুর পদ্মের পায়ের ধুলো দিয়ে আমি আমার হৃদয়ের আয়না পরিষ্কার করি।
বরণৌ রঘুবর বিমলযশ জো দায়ক ফলচারি ॥এবং তারপর ভগবান রামের পবিত্র মহিমা বর্ণনা করুন, যা জীবনের চারটি ফল প্রদান করে।
বুদ্ধিহীন তনুজানিকৈ সুমিরৌ পবন কুমার ।নিজেকে অজ্ঞ এবং জ্ঞানের অভাব বলে স্বীকার করে, আমি তোমাকে আহ্বান জানাই, হে বাতাসের পুত্র, আমাকে বুদ্ধি এবং জ্ঞান প্রদান করতে এবং আমার মানসিক কষ্ট দূর করতে।
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কলেশ বিকার ॥আমাকে শক্তি, বুদ্ধি এবং জ্ঞান দান করুন এবং আমার সমস্ত দুঃখ এবং বদনাম দূর করুন।
হনুমান চালিশা বাংলা দোহা ( Hanuman Chalisa in Bengali Doha )

হনুমান চালিশা বাংলা দোহা – সম্পূর্ণ তাৎপর্য্য ( Hanuman Chalisa in Bengali – Doha – A Meaningful Explanation )

প্রথম লাইনটি একজন গুরু বা আধ্যাত্মিক শিক্ষক থাকার গুরুত্ব সম্পর্কে বলে, যিনি আমাদের আধ্যাত্মিক শক্তির বিকাশের পথে পরিচালিত করতে পারেন। ভক্ত গুরুর পদ্মের মতো পায়ের ধুলো ব্যবহার করে তাদের হৃদয়ের আয়নাকে শুদ্ধ করে।

এইভাবে ভক্ত মনের অশুচিতা দূর করে, ভক্তি ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের জন্য তাদের হৃদয় প্রস্তুত করতে চায়।

দ্বিতীয় লাইনে, ভক্তরা ভগবান রামের পবিত্র মহিমা পাঠ করার জন্য ফল লাভের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। ভক্ত স্বীকার করেন যে ভগবান রামের মহিমা পাঠ করলে জীবনের চারটি ফল পাওয়া যায়, যা হল ধর্ম (ধার্মিকতা), অর্থ (সম্পদ), কাম (আনন্দ) এবং মোক্ষ (মুক্তি)।

এই লাইনটি হনুমান চালিশায় ভগবান রামের ঐশ্বরিক উপস্থিতির তাৎপর্য এবং আধ্যাত্মিক ও জাগতিক পরিপূর্ণতার জন্য তাঁর আশীর্বাদের শক্তির উপর জোর দেয়।

তৃতীয় লাইনে, ভক্ত তাদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে এবং সেগুলি কাটিয়ে উঠতে ভগবান হনুমানের সাহায্য চায়। ভক্ত তাদের বুদ্ধিমত্তা এবং জ্ঞানের অভাব স্বীকার করে এবং হনুমানের কাছে আবেদন করে, যিনি পবন কুমার বা বাতাসের পুত্র নামেও পরিচিত, তাদের এই গুণগুলি দান করার জন্য।

ভক্ত হনুমানকে তাদের মানসিক যন্ত্রণা বা নেতিবাচক আবেগগুলি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য প্রার্থনা করে যা তাদের আধ্যাত্মিক শক্তির বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

চতুর্থ লাইনে, ভক্ত ভগবান হনুমানকে তাদের শক্তি, বুদ্ধি এবং জ্ঞান দিয়ে আশীর্বাদ করতে বলেন। “কালস” শব্দটি দুঃখকে বোঝায় এবং “বিকার” শব্দটি খারাপ বা নেতিবাচক গুণাবলীকে বোঝায়। এখানে ভক্ত তাদের দুঃখ এবং পাপ দূর করে, আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে বাধাকে সরাতে ভগবান হনুমানের কাছে প্রার্থনা করেছে।

হনুমান চালিশা বাংলা ধ্যানম্ ( Hanuman Chalisa in Bengali – Dhyanam )

গোষ্পদীকৃত বারাশিং মশকীকৃত রাক্ষসম্ ।
রামায়ণ মহামালা রত্নং বংদে-(অ)নিলাত্মজম্ ॥
যত্র যত্র রঘুনাথ কীর্তনং তত্র তত্র কৃতমস্তকাংজলিম্ ।
ভাষ্পবারি পরিপূর্ণ লোচনং মারুতিং নমত রাক্ষসাংতকম্ ॥
হনুমান চালিশা বাংলা ধ্যানম্ ( Hanuman Chalisa in Bengali – Dhyanam )
আমি বায়ু দেবতার পুত্র অঞ্জনেয়াকে প্রণাম করি, যিনি একবার ভগবান বিষ্ণুর পবিত্র পায়ের ছাপের আকারকে গরুর পায়ের ছাপের আকারে ছোট করেছিলেন এবং যিনি মশাকাসুর রাক্ষসকেও ধ্বংস করেছিলেন।
আমি বায়ু দেবতার পুত্রকে প্রণাম করি, যিনি মহাকাব্য রামায়ণের অমূল্য রত্ন।
যেখানেই রামের মহিমা গাওয়া হয়, সেখানেই আমি হাত জোড় করে প্রণাম করি।
আমি ভগবান হনুমানকে প্রণাম করি, যার চোখে অশ্রু রয়েছে এবং যিনি অসুর জগতে শান্তি এনেছেন।
হনুমান চালিশা ধ্যানম্ বাংলা অর্থ ( Meaning of Dhyanam of Hanuman Chalisa in Bengali )

হনুমান চালিশা বাংলা অর্থ চৌপাঈ | Hanuman Chalisa Bengali Meaning of Choupai

আপনি হনুমান চালিশা বাংলায় ( Hanuman Chalisa in Bengali ) পাঠ শুরু করার আগে অবশই জেনে নিন তার অর্থ। প্রতিটা শব্দের ও পংক্তির মানে জানা থাকলে, আপনার হনুমান চালিশা বাংলায় ( Hanuman Chalisa in Bengali ) পাঠ করতে আবেগ ও ভক্তি আসবে এবং সেই অনুযায়ী আপনার স্বরের প্রকারভেদ হবে।

তাই আগেই হনুমান চালিশার বাংলা মানে বুঝে নিন। পরবর্তী ধাপে অর্থ অনুযায়ী নিজের আবেগ ও অনুভূতি দিয়ে হনুমান চালিশা বাংলায় পাঠ করুন। আপনি নিজেই তৃপ্তি পাবেন।

হনুমান চালিশা বাংলা চৌপাঈহনুমান চালিশা বাংলা অর্থ ( Hanuman Chalisa Bengali Meaning )
জয় হনুমান জ্ঞান গুন সাগর।
জয় কপিস তিহু লোক উজাগর ॥১॥
জ্ঞান ও গুণের সাগর হনুমানের জয়।
তিন জগতের জাগরণকারী বানর বীরের জয় ॥১॥
রাম দূত অতুলিত বল ধামা।
অঞ্জনী-পুত্র পবন সুত নামা ॥২॥
রামের দূত, অতুলনীয় শক্তি এবং গতি সহ,
অঞ্জনীর পুত্র, বাতাসের বংশ বলে পরিচিত ॥২॥
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী।
কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গি ॥৩॥
শক্তিশালী এবং বলিষ্ঠ দেহের সাথে পরাক্রমশালী বীর,
বুদ্ধিমত্তা ও প্রজ্ঞায় কে তোমাকে মেলে? ॥৩॥
কাঞ্চন বরন বিরাজ সুবেষা।
কানন কুণ্ডল কুঞ্চিত কেশা ॥৪॥
সোনালি রঙ এবং সুন্দর পোশাকে সজ্জিত,
সঙ্গে কানের দুল ঝুলানো এবং কোঁকড়ানো চুল ॥৪॥
হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ।
কান্ধে মুঞ্জ জানিউ সাজে ॥৫॥
হাতে বজ্র ও পতাকা নিয়ে শোভিত,
কাঁধ এবং কোমর জুড়ে একটি পবিত্র সুতো পরা ॥৫॥
শঙ্কর সুবন কেশরী নন্দন।
তেজ প্রতাপ মহা জগ বন্দন ॥৬॥
ভগবান শঙ্করের পুত্র ও কেশরীর আনন্দ,
সেই পরাক্রমশালী যাঁর মহিমা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয় ॥৬॥
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর ।
রাম কাজ করিবে কো আতুর ॥৭॥
কে জ্ঞানী, গুণী এবং অতি চতুর-
কে রামের কাজ করতে ব্যাকুল হবে না? ॥৭॥
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিয়া ।
রামলখন সীতা মন বসিয়া ॥৮॥
যে ভক্তি সহকারে ভগবান রামের দিব্য কাহিনী করে শ্রবণ,
তাদের মন রাম, লক্ষ্মণ ও সীতার প্রেমে হয় পরিপূর্ণ ॥৮॥
সূক্ষ্ম রূপধরি সিয়াহি দিখাবা ।
বিকট রূপধরি লংক জরাবা ॥৯॥
তুমি ক্ষুদ্র রূপ ধারণ করে সীতার সামনে উপস্থিত হয়েছো,
আবার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে লঙ্কা নগরীকে পুড়িয়েছো ॥৯॥
ভীম রূপধরি অসুর সংহারে ।
রামচন্দ্র কে কাজ সংবারে ॥১০॥
ভীমের ন্যায় বিশাল রূপে তুমি অসুর নাশ করো,
ভগবান রামের সব কাজ তুমি একমাত্র করতে পারো ॥১০॥
লায়ে সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে ।
শ্রী রঘুবীর হরষি উর লায়ে ॥১১॥
সঞ্জীবনী এনে তুমি লক্ষণকে পুনর্জীবন দিয়েছো,
ভগবান রামের হৃদয় সুখে পূর্ণ করেছো ॥১১॥
রঘুপতি কীন্হী বহুত বদায়ী ।
তুম মম প্রিয ভরত সম ভায়ি ॥১২॥
রঘুপতি (ভগবান রাম) ভরতকে খুব প্রশংসা করেছিলেন।
তুমি ভরতেরই মতো তেনার পরম প্রিয় ভ্রাতা ॥১২॥
সহস্র বদন তুম্হরো য়শগাবৈ ।
অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লগাবৈ ॥১৩॥
হাজার মুখ তোমার মহিমা গাইবার জন্য যথেষ্ট নয়,
এই বলে প্রভু রাম তোমাকে আলিঙ্গন করেন ॥১৩॥
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা ।
নারদ শারদ সহিত অহীশা ॥১৪॥
স্রষ্টা ব্রহ্মা সনকা, মুনি নারদ সকলে
তোমার যথাযথ মহিমা বর্ননা করতে ব্যর্থ ॥১৪॥
য়ম কুবের দিগপাল জহাং তে ।
কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে ॥১৫॥
কবি এবং পণ্ডিতরা ইত্যাদি এমনকি যমরাজ, কুবের এবং
দিগপালের মতো দেবতারাও হনুমানের মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে ব্যর্থ। ॥১৫॥
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা ।
রাম মিলায় রাজপদ দীন্হা ॥১৬॥
তুমি সুগ্রীবের একটি মহান উপকার করেছো, তাকে শ্রী রামের
সাথে একত্রিত করে রাজকীয় সিংহাসনে স্থাপন করেছ ॥১৬॥
তুম্হরো মন্ত্র বিভীষণ মানা ।
লংকেশ্বর ভয়ে সব জগ জানা ॥১৭॥
তোমার ভগবান রামের উপদেশ বিভীষণ মানে,
লঙ্কার অধীশ্বরের (রাবণ) ভয় সম্পর্কে সমস্ত বিশ্ব জানে ॥১৭॥
য়ুগ সহস্র য়োজন পর ভানূ ।
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানূ ॥১৮॥
সহস্র যোজন উর্দ্ধে সূর্য্যদেবকে দেখে,
ভুল করে তারে মিষ্টি ফল ভেবে গ্রাস করেছিলে ॥১৮॥
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী ।
জলধি লংঘি গয়ে আচার্য নাহী ॥১৯॥
প্রভু রামের আংটি মুখে নিয়ে তুমি নির্দ্বিধায়
সমস্ত বাঁধাকে তুচ্ছ করে সাগর পারি দিয়ে ছিলে ॥১৯॥
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে ।
সুগম অনুগ্রহ তুমহ্রে তেতে ॥২০॥
দুর্গম কাজ যা পৃথিবীতে কেউ সম্পন্ন করতে পারেনা,
তা তোমার অনুগ্রহে সহজ সরল হয়ে যায় ॥২০॥
রাম দুয়ারে তুম রখবারে ।
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে ॥২১॥
প্রভু রামের দুয়ারে তুমি চিরকালের রক্ষী,
তোমার আজ্ঞা ছাড়া কেহ না প্রবেশ করতে পারে ॥২১॥
সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা ।
তুম রক্ষক কাহূ কো ডরনা ॥২২॥
তোমার কৃপায় আমি সর্বসুখ লাভ করি,
তুমি যেথা রক্ষী, সেথা আর কারে ডরি ॥২২॥
আপন তেজ সম্হারো আপৈ ।
তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ ॥২৩॥
নিজের তেজ, তুমি নিজেই করো সম্বরণ,
তোমার হুঙ্কারে দেখো কাঁপে ত্রিভুবন ॥২৩॥
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ ।
মহাবীর জব নাম সুনাবৈ ॥২৪॥
ভুত, প্রেত, পিশাচ কভু কাছে না আসে,
মহাবীর নাম তবে যে স্মরণ করে। ॥২৪॥
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা ।
জপত নিরন্তর হনুমত বীরা ॥২৫॥
রোগ, কষ্ট ও দুর্দশা সব দূর হয়,
যে জন তোমার নাম জপ করে ॥২৫॥
সংকট সে হনুমান ছুড়াবৈ ।
মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবৈ ॥২৬॥
বিপদ ও সংকটে একমাত্র মহাবীর হনূমান উদ্ধার করে,
যে তার নাম (হনুমান ) চিরকাল ধ্যান করে ॥২৬॥
সব পর রাম তপস্বী রাজা ।
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা ॥২৭॥
যে মহাপ্রভু রামের ধ্যান তপস্যা করে,
তুমি তাদের সমস্ত কঠিন কাজকে সহজ করো ॥২৭॥
ঔর মনোরধ জো কোয়ি লাবৈ ।
সহি অমিত জীবন ফল পাবৈ ॥২৮॥
তোমার চরণে যে অন্তরের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সমর্পণ করে,
তবে সে জীবনের সীমাহীন ফল লাভ করে ॥২৮॥
চারো যুগ প্রতাপ তুম্হারা ।
হৈ প্রসিদ্ধ জগত উজিয়ারা ॥২৯॥
তোমার নামের খ্যাতি ছড়াবে চার যুগে,
তোমার মহিমাতে আলোকিত হবে জগৎ জুড়ে ॥২৯॥
সাধু সন্ত কে তুম রখবারে ।
অসুর নিকংদন রাম দুলারে ॥৩০॥
হে হনুমান, তুমি রক্ষা করো সাধু সন্ত,
অসুর সংহার করে তুমি শ্রী রামের প্রিয় ভক্ত ॥৩০॥
অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা ।
অস বর দীন্ জানকী মাতা ॥৩১॥
তুমি অষ্ট সিদ্ধি ও নব নিধির শক্তি দান করতে পারো,
যা তুমি বরদান রূপে পেয়েছো, জানকি মাতার থেকে ॥৩১॥
রাম রসায়ন তুম্হারে পাসা ।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা ॥৩২॥
হে হনুমান, তুমি রাম নামের অমৃতের অধিকারী,
সর্বদা ভগবান রঘুপতির সেবক হয়ে থাকো ॥৩২॥
তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ ।
জনম জনম কে দুখ বিসরাবৈ ॥৩৩॥
তোমার আরাধনা করে, কেউ ভগবান রামের ভক্তি লাভ করতে পারে,
এবং তা করে জন্ম জন্মের সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্ত হতে পারে ॥৩৩॥
অন্ত কাল রঘুপতি পুরযায়ী ।
জহান জনম হরিভক্ত কহায়ী ॥৩৪॥
রঘুপতি রামের সেবায়, যে জীবন নিবেদন করে,
তিনি প্রতি জন্মে হরি (ভগবান বিষ্ণুর) ভক্ত হবে ॥৩৪॥
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরায়ে ।
হনুমত সেযি সর্ব সুখ করায়ে ॥৩৫॥
অপর কোন দেবতার প্রতি চিত্ত নিবিষ্ট না করেও কেবল
হনুমানের সেবা করেই সর্বফল লাভ করা যেতে পারে ॥৩৫॥
সংকট কটৈ মিটৈ সব পীরা ।
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা ॥৩৬॥
রোগের সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পায় সে,
যে মহাবলী বীর্যবীর হনুমান কে স্মরণ করে ॥৩৬॥
জয় জয় জয় হনুমান গোসায়ী ।
কৃপা করহু গুরুদেব কী নায়ী ॥৩৭॥
হে প্রভু হনুমানজি, তোমার জয় হোক, জয় হোক, জয় হোক।
তোমার গুরুদেবের মতোই তুমি আমাকে কৃপা করো ॥৩৭॥
যো শত বার পাঠ কর কোয়ী ।
ছূটহি বন্দি মহা সুখ হোয়ী ॥৩৮॥
এই হনুমান চালিশা যে শত বার পাঠ করবে, সে
পার্থিব বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে প্রভুত্ব সুখ ও সৌভাগ্য লাভ করবে ॥৩৮॥
জো য়াহ পড়ে হনুমান চালীসা ।
হোয়ে সিদ্ধি সাখী গৌরীশা ॥৩৯॥
যিনি এই হনুমান চালিশা ভক্তি সহকারে পাঠ করেন,
স্বয়ং ভগবান শিব সাক্ষী, তিনি অবশ্যই সিদ্ধি লাভ করেন ॥৩৯॥
তুলসীদাস সদা হরি চেরা ।
কীজৈ নাথ হৃদয় মহ ডেরা ॥40॥
তুলসীদাস (নিজ নাম) সদা প্রভু হরির ভক্ত,
এই বিশ্বাস করে হৃদয়ে স্থান দাও ॥40॥
Hanuman Chalisa in Bengali – Choupai | হনুমান চালিশা বাংলা চৌপাঈ

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ: হনুমান চালিশা বাংলায় পাঠ করে হনুমানজিকে সমর্পন করতে হলে এই জিনিসটি অনুসরণ করুন।

Special Note: To dedicate your reciting of Hanuman Chalisa in Bengali to Hanumanji, you must follow these step.

“শেষ পংক্তিতে কবির নামের বদলে আপনার নিজের নাম উল্লেখ করলে, হনুমান চালিশা পাঠ আপনার তরফ থেকে ভগবানের উদ্দেশে আপনার থেকেই সমর্পন করা হবে। তাই তুলসীদাস এর পরিবর্তে নিজের নাম বলবেন।”
হনুমান চালিশা বাংলা অনুবাদ
Hanuman Chalisa Bengali – হনুমান চালিশা বাংলা | Hanuman Chalisa in Bengali

হনুমান চালিশা বাংলা অর্থ – দোহা ( Hanuman Chalisa Bengali Meaning of Doha )

হনুমান চালিশা বাংলা দোহাহনুমান চালিশা বাংলা অর্থ – দোহা
পবন তনয় সংকট হরণ – মংগল মূরতি রূপ্ ।
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয় বসহু সুরভূপ্ ॥
হে আশীর্বাদের মূর্ত প্রতীক, পবন পুত্র, সমস্ত দুঃখ হরণকারী,
তোমার রূপ সবচেয়ে মঙ্গলময় ও ঐশ্বরিক।
তুমি আমার হৃদয়ে শ্রীরাম, লক্ষ্মণ ও সীতার সাথে বাস কর।

``


🙏 সিয়াবর রামচংদ্রকী জয় । পবনসুত হনুমানকী জয় । বোলো ভায়ী সব সনাতন কী জয় । 🙏

আপনার সুবিধার্তে এখানে একটি গণনা মেশিন লাগানো হলো। একবার পাঠ করার পর “পাঠ করেছেন” বাটন টিতে ক্লিক করবেন। তারপর আবার স্ক্রল করে শুরু থেকে পুনরায় পাঠ করে আবার “পাঠ করেছেন” বাটন টিতে ক্লিক করবেন। তাহলে, কতবার আজকে পাঠ করলেন তা অনায়াশে দেখতে পাবেন। গত ৩০ দিনের ইতিহাস চেক করতে আপনি “হনুমান চালিসা পাঠের ইতিহাস” পাতাটি ভিসিট করতে পারেন।

দ্রষ্টব্যঃ আপনার ব্রাউসার বা ফোন রিসেট হয়ে গেলে, এই ইতিহাস মুছে যাবে।

হনুমান চালিশা পাঠ করার নিয়ম | Discipline for Reciting Hanuman Chalisa

হনুমান চালিশা পড়ার আগে কোনও কঠিন এবং বাধ্যতামুলক নিয়ম নেই, তবে এমন কয়েকটি জিনিস রয়েছে যা ভক্তরা সাধারণত ভগবান হনুমানের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভক্তির চিহ্ন হিসাবে পালন করেন।

এই অনুচ্ছেদটি আমরা আরও বিস্তর ভাবে কভার করেছি, এই পোস্টটিতে হনুমান চালিশা পাঠ করার নিয়ম। আগ্রহ থাকলে অবশ্যই একবার লিংকটিতে ক্লিক করে ঢুকে দেখবেন। আশা করি আপনার আত্মবিশ্বাস যথেষ্ট বেড়ে যাবে।

এবং সেগুলি পালন করে হনুমান চালিশা পাঠ করা শুরু করলে, অবশই ভক্তদের মনে বিশুদ্ধতা ও দৃঢ়তা আসে ও ভগবানের শক্তির অস্তিত্ব নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিম্নে কিছু সূচি বর্ণনা করা হলো, যা হনুমান চালিশা পাঠ করার আগে করণীয়:

  • পবিত্রতা: পবিত্রতা বজায় রাখতে হনুমান চালিশা পড়ার আগে স্নান বা হাত-পা ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: যে স্থানে চালিশা পাঠ করা হচ্ছে সেটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং কোনো বিভ্রান্তিমুক্ত হতে হবে।
  • ভক্তি: প্রতিটি শ্লোকের অর্থ ও তাৎপর্যের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার সময় পূর্ণ ভক্তি ও একাগ্রতার সাথে হনুমান চালিশা পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • সময়: হনুমান চালিশা যে কোনও সময় পাঠ করা যেতে পারে, তবে এটি মঙ্গলবার বা শনিবার পাঠ করা বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয়।
  • নৈবেদ্য: কিছু ভক্ত শ্রদ্ধা ও ভক্তির চিহ্ন হিসাবে চালিশা পাঠের আগে বা পরে ভগবান হনুমানকে ফুল, মিষ্টি বা ফল অর্পণ করতে পছন্দ করেন।

এগুলি কিছু সাধারণ নির্দেশিকা যা ভক্তরা অনুসরণ করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভগবান হনুমানের প্রতি খাঁটি অভিপ্রায় এবং ভক্তি সহকারে হনুমান চালিশা পাঠ করা।

হনুমান চালিশা বাংলা চৌপাঈ
Hanuman Chalisa in Bengali – Choupai
জয় হনুমান জ্ঞান গুন সাগর।
জয় কপিস তিহু লোক উজাগর ॥ ১ ॥
রাম দূত অতুলিত বল ধামা।
অঞ্জনী-পুত্র পবন সুত নামা ॥ ২ ॥
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী।
কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গি ॥ ৩ ॥
কাঞ্চন বরন বিরাজ সুবেষা।
কানন কুণ্ডল কুঞ্চিত কেশা ॥ ৪ ॥
হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ।
কান্ধে মুঞ্জ জানিউ সাজে ॥ ৫ ॥
শঙ্কর সুবন কেশরী নন্দন।
তেজ প্রতাপ মহা জগ বন্দন ॥ ৬ ॥
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর ।
রাম কাজ করিবে কো আতুর ॥ ৭ ॥
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিয়া ।
রামলখন সীতা মন বসিয়া ॥ ৮॥
সূক্ষ্ম রূপধরি সিয়াহি দিখাবা ।
বিকট রূপধরি লংক জরাবা ॥ ৯ ॥
ভীম রূপধরি অসুর সংহারে ।
রামচন্দ্র কে কাজ সংবারে ॥ ১০ ॥
লায়ে সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে ।
শ্রী রঘুবীর হরষি উর লায়ে ॥ ১১ ॥
রঘুপতি কীন্হী বহুত বদায়ী ।
তুম মম প্রিয ভরত সম ভায়ি ॥ ১২ ॥
সহস্র বদন তুম্হরো য়শগাবৈ ।
অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লগাবৈ ॥ ১৩ ॥
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা ।
নারদ শারদ সহিত অহীশা ॥ ১৪ ॥
য়ম কুবের দিগপাল জহাং তে ।
কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে ॥ ১৫ ॥
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা ।
রাম মিলায় রাজপদ দীন্হা ॥ ১৬ ॥
তুম্হরো মন্ত্র বিভীষণ মানা ।
লংকেশ্বর ভয়ে সব জগ জানা ॥ ১৭ ॥
য়ুগ সহস্র য়োজন পর ভানূ ।
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানূ ॥ ১৮ ॥
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী ।
জলধি লংঘি গয়ে আচার্য নাহী ॥ ১৯ ॥
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে ।
সুগম অনুগ্রহ তুমহ্রে তেতে ॥ ২০ ॥
রাম দুয়ারে তুম রখবারে ।
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে ॥ ২১ ॥
সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা ।
তুম রক্ষক কাহূ কো ডরনা ॥ ২২ ॥
আপন তেজ সম্হারো আপৈ ।
তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ ॥ ২৩ ॥
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ ।
মহাবীর জব নাম সুনাবৈ ॥ ২৪ ॥
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা ।
জপত নিরন্তর হনুমত বীরা ॥ ২৫ ॥
সংকট সে হনুমান ছুড়াবৈ ।
মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবৈ ॥ ২৬ ॥
সব পর রাম তপস্বী রাজা ।
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা ॥ ২৭ ॥
ঔর মনোরধ জো কোয়ি লাবৈ ।
সহি অমিত জীবন ফল পাবৈ ॥ ২৮ ॥
চারো যুগ প্রতাপ তুম্হারা ।
হৈ প্রসিদ্ধ জগত উজিয়ারা ॥ ২৯ ॥
সাধু সন্ত কে তুম রখবারে ।
অসুর নিকংদন রাম দুলারে ॥ ৩০ ॥
অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা ।
অস বর দীন্ জানকী মাতা ॥ ৩১ ॥
রাম রসায়ন তুম্হারে পাসা ।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা ॥ ৩২ ॥
তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ ।
জনম জনম কে দুখ বিসরাবৈ ॥ ৩৩ ॥
অন্ত কাল রঘুপতি পুরযায়ী ।
জহান জনম হরিভক্ত কহায়ী ॥ ৩৪ ॥
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরায়ে ।
হনুমত সেযি সর্ব সুখ করায়ে ॥ ৩৫ ॥
সংকট কটৈ মিটৈ সব পীরা ।
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা ॥ ৩৬ ॥
জয় জয় জয় হনুমান গোসায়ী ।
কৃপা করহু গুরুদেব কী নায়ী ॥ ৩৭ ॥
যো শত বার পাঠ কর কোয়ী ।
ছূটহি বন্দি মহা সুখ হোয়ী ॥ ৩৮ ॥
জো য়াহ পড়ে হনুমান চালীসা ।
হোয়ে সিদ্ধি সাখী গৌরীশা ॥ ৩৯ ॥
তুলসীদাস সদা হরি চেরা ।
কীজৈ নাথ হৃদয় মহ ডেরা ॥ 40 ॥
হনুমান চালিশা বাংলা অনুবাদ
হনুমান চালিশা মন্ত্র বাংলা অনুবাদ – Hanuman Chalisa Bengali Translation

হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা | Benefit of Reciting Hanuman Chalisa

যারা ভক্তি ও আন্তরিকতার সাথে হনুমান চালিশা পাঠ করেন বা আবৃত্তি করেন তাদের জন্য হনুমান চালিশা অনেক উপকারী বলে মনে করা হয়। তাই এখানে হনুমান চালিশা পাঠের সম্ভাব্য কিছু উপকারিতা বর্ণনা করা হলো:

  • সুরক্ষা এবং আশীর্বাদ: হনুমান চালিশা পাঠ করলে নেতিবাচক শক্তি এবং অশুভ আত্মা থেকে দূরে থাকা যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি শক্তি, সাহস এবং জ্ঞান সহ ভগবান হনুমানের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে আসে বলেও বিশ্বাস করা হয়।
  • বাধা অতিক্রম করা: নিয়মিত হনুমান চালিশা পাঠ জীবনে বাধা এবং অসুবিধাগুলি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত হনুমান চালিশা আবৃত্তি একজনকে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে এবং নিজের প্রচেষ্টায় সাফল্য অর্জন করতে সাহায্য করতে পারে।
  • স্বাস্থ্যের উন্নতি: কিছু লোক বিশ্বাস করেন যে হনুমান চালিশা পাঠ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি হতে থাকলে, বিভিন্ন ছোটোখাটো অসুস্থতা এবং রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
  • আধ্যাত্মিক উন্নতি: নিয়মিত হনুমান চালিশা পাঠ ভক্তকে আধ্যাত্মিক শক্তির বিকাশে সাহায্য করে এবং মহাশক্তির সাথে ঐশ্বরিক সংযোগ স্থাপন করতে সহায়তা করে বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি একজনকে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং আবেগকে কাটিয়ে উঠতে এবং ভক্তি, নম্রতা এবং কৃতজ্ঞতার মতো ইতিবাচক গুণাবলী গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

সামগ্রিকভাবে, হনুমান চালিশা একটি শক্তিশালী ভক্তিমূলক স্তোত্র হিসাবে বিবেচিত হয় যা ভক্তি ও বিশ্বাসের সাথে যারা এটি পাঠ করে তাদের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং আধ্যাত্মিক শক্তির বিকাশ ঘটাতে পারে।

FAQ – হনুমান চালিশা বাংলা অনুবাদ (Hanuman Chalisa in Bengali)

হনুমান চালিশা রাতে পাঠ করলে কি হয়?

রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট ক্ষতি বা নেতিবাচক প্রভাবের কোথাও কোনো বর্ণনা নেই। যাইহোক, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে এটি একটি ব্যক্তিগত পছন্দ এবং একজনের বিশ্বাস চালিশা আবৃত্তির প্রভাব নির্ধারণে ভূমিকা পালন করতে পারে। হিন্দু ঐতিহ্যে, এটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান সমস্ত বাধা অপসারণকারী এবং হনুমান চালিসা পাঠ করা ইতিবাচক, সৌভাগ্য এবং নেতিবাচক শক্তির বিরুদ্ধে সুরক্ষা আনতে পারে। হনুমান চালিসা পাঠের সর্বোত্তম সময় সকাল বা সন্ধ্যায় ধরা হয়। তবে রাতের বেলা পড়লে কোন ক্ষতি নেই।

হনুমান চালিশা প্রতিদিন পাঠ করলে কি হয়?

প্রতিদিন সকালে হনুমান চালিশা পাঠ করলে, মনে শান্তি আসে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ফলে, দিনের যাবতীয় কাজ, যত বাধা বিপত্তিই আসুক না কেন, চেষ্টার কোনো ত্রুটি না রেখে সম্পন্ন করা যায়। পুরো দিনটি সফল ভাবে কাটানো যায়।

হনুমান চালিশা মন্ত্র পাঠ করার কি কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে?

হ্যাঁ, খুব প্রভাব পেতে হলে, অবশই কিছু সতর্কতা ও নিয়ম মেনে চলতে হয়। এই সংবেদনটিতে হনুমান চালিশা পাঠের পুরো নিয়মাবলী বর্ণনা করা হয়েছে।

পবনপুত্র হনুমান অর্থ

হনুমানজি হলেন পবন দেবতার পুত্র। তাই ভক্তরা হনুমানজির নামের আগে কখনো কখনো পবনপুত্র হনুমান বলে সংবোধন করে থাকেন।