শিব চালিসা বাংলা অনুবাদ (Shiv Chalisa In Bengali) এই পোস্টটিতে শিব চালিসা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। দয়া করে মনে রাখবেন যে উচ্চারণটি সঠিক নাও হতে পারে, কারণ বাংলা লিপি সর্বদা হিন্দির ধ্বনিকে পুরোপুরি উপস্থাপন করে না। এখানে হিন্দি শিব চালিসা টি কে হিন্দি উচ্চারণে শিব চালিসা বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়েছে।
ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে চল্লিশটি শ্লোক স্তোত্র একত্রে হলো শিব চালিশা। শিব চালিশা রচনা করেছেন কবি অযোধ্যা দাস । সর্বশক্তিমান শিবের কাছ থেকে আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য স্তোত্রটি ভক্তদের দ্বারা পাঠ করা হয়। শ্লোক গুলি তে ভক্তের মঙ্গল কামনা এবং ভগবান শিবের ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিকের প্রশংসা দেখতে পাওয়া যায়।
ভগবান শিব অল্পতেই সন্তুষ্ট হয় বলে হিন্দুধর্মের মানুষরা বিশ্বাস করেন। হিন্দু ধর্মের অন্যতম পূজনীয় দেবতা হলেন শিব। তিনি পরম সত্তা, মন্দের বিনাশকারী। প্রাচীন এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শিব পুজোর প্রচলন চলে আসছে।
মন থেকে কৈশালপতি ভগবান শিব শঙ্কর কে ডাকলেই তিনি ভক্ত দের সারা দেন । শিবের পুজো সোমবারে করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়। কথিত আছে মহাদেব কে কেবলমাত্র জল নিবেদন করেও সন্তুষ্ট করা যায়। তবে পুজোয় ভুল-ত্রুটি হলে, তিনি তাড়াতাড়ি অসন্তুষ্টও হয়ে যান।
মহাদেব কে প্রসন্ন করতে গেলে নিয়মিত শিব চালিসা পাঠ করতে পারেন। সোমবার ভোলানাথের পুজোর বিশেষ দিন বলে ধরা হয়। বিশেষ করে যারা সময় পান না তারা এই দিনে শিব চালিসা পাঠ করতে পারেন। ভোলানাথের পুজোর সাথে শিব চালিসা পাঠ করলে অসীম কৃপা লাভ হয়। এছাড়াও জীবনে আসা সমস্ত বাধা-বিপত্তি, দুঃখ-কষ্ট, রোগ-ব্যাধি জ্বর-জ্বালা থেকে মুক্তি মেলে।
কোনও ব্যক্তি যদি কিছু কারণে ভয় পান তাহলে শিব চালিসা পাঠ করুন। ভয় কেটে যাবে।
Contents
- শিব চালিসা বাংলা অনুবাদ – Shiv Chalisa In Bengali
- শিব চালিসা বাংলা অনুবাদ (Shiv Chalisa In Bengali) – শিব চালিশা বাংলা অর্থ
- শিব চালিশা পাঠের নিয়ম সময় ও দিন – Process And Time To Read Shiv Chalisa In Bengali
- শিব চালিশা পাঠের উপকারিতা – Benefit Of Chanting Shiv Chalisa In Bengali
- FAQ: Shiv Chalisa In Bengali
শিব চালিসা বাংলা অনুবাদ – Shiv Chalisa In Bengali
দোহা
জয় গণেশ গিরিজাসুবন মংগল মূল সুজান ।
কহত অয়োধ্যাদাস তুম দেউ অভয় বরদান ॥
ওঁ নমঃ শিবায়
জয় গিরিজাপতি দীনদয়ালা । সদা করত সন্তন প্রতিপালা ॥
ভাল চন্দ্রমা সোহত নীকে । কানন কুণ্ডল নাগ ফনী কে ॥
অংগ গৌর শির গংগ বহায়ে । মুণ্ডমাল তন ক্ষার লগায়ে ॥
বস্ত্র খাল বাঘম্বর সোহে । ছবি কো দেখি নাগ মন মোহে ॥
মৈনা মাতু কি হবে দুলারী । বাম অংগ সোহত ছবি ন্যারী ॥
কর ত্রিশূল সোহত ছবি ভারী । করত সদা শত্রুন ক্ষয়কারী ॥
নংদী গণেশ সোহৈং তহং কৈসে । সাগর মধ্য কমল হৈং জৈসে ॥
কার্তিক শ্যাম ঔর গণরাঊ । যা ছবি কৌ কহি জাত ন কাঊ ॥
দেবন জবহীং জায় পুকারা । তবহিং দুখ প্রভু আপ নিবারা ॥
কিয়া উপদ্রব তারক ভারী । দেবন সব মিলি তুমহিং জুহারী ॥
তুরত ষডানন আপ পঠায়ৌ । লব নিমেষ মহং মারি গিরায়ৌ ॥
আপ জলংধর অসুর সংহারা । সুয়শ তুম্হার বিদিত সংসারা ॥
ত্রিপুরাসুর সন যুদ্ধ মচাঈ । তবহিং কৃপা কর লীন বচাঈ ॥
কিয়া তপহিং ভাগীরথ ভারী । পুরব প্রতিজ্ঞা তাসু পুরারী ॥
দানিন মহং তুম সম কোউ নাহীং । সেবক স্তুতি করত সদাহীং ॥
বেদ মাহি মহিমা তুম গাঈ । অকথ অনাদি ভেদ নহীং পাঈ ॥
প্রকটে উদধি মংথন মেং জ্বালা । জরত সুরাসুর ভএ বিহালা ॥
কীন্হ দয়া তহং করী সহাঈ । নীলকংঠ তব নাম কহাঈ ॥
পূজন রামচংদ্র জব কীন্হাং । জীত কে লংক বিভীষণ দীন্হা ॥
সহস কমল মেং হো রহে ধারী । কীন্হ পরীক্ষা তবহিং ত্রিপুরারী ॥
এক কমল প্রভু রাখেউ জোঈ । কমল নয়ন পূজন চহং সোঈ ॥
কঠিন ভক্তি দেখী প্রভু শংকর । ভয়ে প্রসন্ন দিএ ইচ্ছিত বর ॥
জয় জয় জয় অনংত অবিনাশী । করত কৃপা সবকে ঘট বাসী ॥
দুষ্ট সকল নিত মোহি সতাবৈং । ভ্রমত রহৌং মোহে চৈন ন আবৈং ॥
ত্রাহি ত্রাহি মৈং নাথ পুকারো । যহ অবসর মোহি আন উবারো ॥
লে ত্রিশূল শত্রুন কো মারো । সংকট সে মোহিং আন উবারো ॥
মাত পিতা ভ্রাতা সব কোঈ । সংকট মেং পূছত নহিং কোঈ ॥
স্বামী এক হৈ আস তুম্হারী । আয় হরহু মম সংকট ভারী ॥
ধন নির্ধন কো দেত সদা হী । জো কোঈ জাংচে সো ফল পাহীং ॥
অস্তুতি কেহি বিধি করোং তুম্হারী । ক্ষমহু নাথ অব চূক হমারী ॥
শংকর হো সংকট কে নাশন । মংগল কারণ বিঘ্ন বিনাশন ॥
যোগী যতি মুনি ধ্যান লগাবৈং । শারদ নারদ শীশ নবাবৈং ॥
নমো নমো জয় নমঃ শিবায় । সুর ব্রহ্মাদিক পার ন পায় ॥
জো যহ পাঠ করে মন লাঈ । তা পর হোত হৈং শম্ভু সহাঈ ॥
রনিয়াং জো কোঈ হো অধিকারী । পাঠ করে সো পাবন হারী ॥
পুত্র হীন কর ইচ্ছা জোঈ। নিশ্চয় শিব প্রসাদ তেহি হোই।
পণ্ডিত ত্রয়োদশী কো লাবে। ধ্যান পূর্বক হোম করাবে।
ত্রয়োদশী ব্রত করবে হমেশা। তাকে তন নহী রহয় কলেশা।
ধূপ দীপ নৈবেদ্য চঢ়াবে। শঙ্কর সম্মুখ পাঠ সুনাবে।
জন্ম জন্ম কে পাপ নসাবে। অন্ত ধাম শিবপুর মেং পাবে।
কহয় অয়োধ্যাদাস আস তুম্হারী। জানি সকল দুঃখ হরহু হামারী।
শিব চালিসা বাংলা অনুবাদ (Shiv Chalisa In Bengali) – শিব চালিশা বাংলা অর্থ
শিব চালিসা বাংলা অনুবাদ – Shiv Chalisa In Bengali Translation | শিব চালিশা বাংলা অর্থ – Shiv Chalisa In Bengali Meaning |
১) জয় গণেশ গিরিজা সুবন মংগল মূল সুজান ।কহত অযোধ্যা দাস তুম দেউ অভয় বরদান ॥ | গণেশ, গিরিজার পুত্র, শুভতার মূল এবং জ্ঞানের প্রতীক, অযোধ্যার দাস, আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি, আমাদের আশীর্বাদ করুন এবং আমাদের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আনুন। |
২) জয় গিরিজাপতি দীনদয়ালা । সদা করত সন্তন প্রতিপালা॥ | গিরিজার স্বামী, দয়ালু শিব, আমাদের সব সময় রক্ষা করুন। দরিদ্র ও অসহায়ের বন্ধু, আমাদের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আনুন। |
৩) ভাল চন্দ্রমা সোহত নীকে । কানন কুণ্ডল নাগ ফনী কে ॥ | চাঁদের মতো সুন্দর শিবের মুখ, কানন কুণ্ডল তার কানের দুল, নাগ ফণি তার মস্তকের উপর সুন্দরভাবে শোভা পাচ্ছে, শিবের চেহারায় রয়েছে অনন্য সৌন্দর্য। |
৪) অঙ্গ গৌর শির গঙ্গা বহায়ে । মুণ্ডমাল তন ক্ষার লগায়ে ॥ | গৌর রঙের শিবের দেহ, গঙ্গা নদীর প্রবাহ তার মাথায়, বিভিন্ন রঙের পোড়ামাটি দিয়ে সজ্জিত মুণ্ডমাল, শিবের দেহের সৌন্দর্য অনন্য। |
৫) বস্ত্র খাল বাঘম্বর সোহে । ছবি কো দেখি নাগ মন মোহে ॥ | বাঘম্বর পোশাকে সুসজ্জিত, শিবের ছবি দেখে মন ভরে যায়, শিবের শক্তি এবং আধ্যাত্মিকতা, ভক্তদের হৃদয়ে জাগিয়ে তোলে। |
৬) মৈনা মাতু কি হবে দুলারী । বাম অংগ সোহত ছবি ন্যারী ॥ | মা ময়না, পার্বতী দেবী, বাম কাঁধে সুশোভিত, তাঁর ছবি যেন সুন্দর নারী, ভক্তদের হৃদয়ে প্রেম জাগায়। |
৭) কর ত্রিশূল সোহত ছবি ভারী । করত সদা শত্রুন ক্ষয়কারী ॥ | ভগবান শিবের হাতে ভারী ত্রিশূল, শত্রুদের ধ্বংসের প্রতীক, ভক্তদের হৃদয়ে সাহস এবং আত্মবিশ্বাস জাগায়। |
৮) নংদী গণেশ সোহৈং তহং কৈসে । সাগর মধ্য কমল হৈং জৈসে ॥ | পদ্মের মতো সুন্দর গণেশ, নাগ ফণির মাথায় সুশোভিত, ভক্তদের রক্ষাকারী দেবতা, গণেশের জ্ঞান এবং শক্তি অপার। |
৯) কার্তিক শ্যাম ঔর গণরাঊ । যা ছবি কৌ কহি জাত ন কাঊ ॥ | শ্যামবর্ণ কার্তিক এবং হলুদবর্ণ গণেশ, দুই ভাইয়ের ছবি একই সুন্দর, ভক্তদের হৃদয়ে আনন্দ জাগায়, কার্তিক এবং গণেশের ছবি অদ্বিতীয়। |
১০) দেবন জবহীং জায় পুকারা । তবহিং দুখ প্রভু আপ নিবারা ॥ | ভক্তদের দুঃখের সময়, ভগবান শিব তাদের পাশে থাকেন, তাদের দুঃখ দূর করেন, ভক্তদের আশা জাগান। |
১১)কিয়া উপদ্রব তারক ভারী । দেবন সব মিলি তুমহিং জুহারী ॥ | অসুরের অত্যাচারের সময়, ভগবান শিব ভক্তদের রক্ষা করেন, তার শক্তি দিয়ে, অসুরদের পরাজিত করেন। |
১২) তুরত ষডানন আপ পঠায়ৌ । লব নিমেষ মহং মারি গিরায়ৌ ॥ | ভগবান শিবের ষড়দানব, শক্তির প্রতীক, অসুরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, মুহূর্তের মধ্যে পরাজিত করল। |
১৩) আপ জলংধর অসুর সংহারা । সুয়শ তুম্হার বিদিত সংসারা ॥ | ভগবান শিবের ত্রিশূল, জলংধরের শক্তিকে ধ্বংস করেছিল, পৃথিবীকে রক্ষা করেছিল, ভক্তদের জীবনকে সুখী করেছিল। |
১৪) ত্রিপুরাসুর সন যুদ্ধ মচাঈ । তবহিং কৃপা কর লীন বচাঈ ॥ | অসুরের শক্তির বিরুদ্ধে, ভগবান শিবের ত্রিশূল, ভক্তদের আশার প্রতীক, অসুরের অত্যাচারকে ধ্বংস করল, পৃথিবীকে রক্ষা করল। |
১৫) কিয়া তপহিং ভাগীরথ ভারী । পুরব প্রতিজ্ঞা তাসু পুরারী ॥ | দীর্ঘকাল ধরে তপস্যা করে, ভাগীরথ ভগবান শিবের কৃপা পেলেন, গঙ্গা নদী পৃথিবীতে নামলেন, মানুষের কষ্ট দূর হল। |
১৬) দানিন মহং তুম সম কোউ নাহীং । সেবক স্তুতি করত সদাহীং ॥ | ভগবান শিব দানিত্বের প্রতীক, তার ভক্তদের জন্য সর্বদা প্রস্তুত, তাদের সকল চাহিদা পূরণ করতে, তাদের জীবনকে সুখী করতে। |
১৭) বেদ মাহি মহিমা তুম গাঈ । অকথ অনাদি ভেদ নহীং পাঈ ॥ | ভগবান শিব বেদজ্ঞানের সাগর, তার জ্ঞান অকথ্য এবং অনাদি, তিনি বেদগুলির মহিমা গাইছেন, ভক্তদের জ্ঞানদান করছেন। |
১৮) প্রকটে উদধি মংথন মেং জ্বালা । জরত সুরাসুর ভএ বিহালা ॥ | সমুদ্র মন্থনের সময়, বিষের বিষাক্ত ধোঁয়া, ভক্তদের জীবনকে বিপন্ন করেছিল, ভগবান শিব বিষ পান করে, ভক্তদের রক্ষা করেছিলেন। |
১৯) কীন্হ দয়া তহং করী সহাঈ । নীলকংঠ তব নাম কহাঈ ॥ | ভগবান শিবের দয়া, ভক্তদের জন্য একমাত্র আশা, তার নাম জপ করলে, ভক্তরা সুখী হয়, ভগবান শিব ভক্তদের জীবনকে আলোকিত করেন। |
২০) পূজন রামচংদ্র জব কীন্হাং । জীত কে লংক বিভীষণ দীন্হা ॥ | রামচন্দ্রের ভগবান শিবের প্রতি ভক্তি, তাকে লঙ্কা জয়ে সাহায্য করেছিল, ভগবান শিবের পূজা, ভক্তদের জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। |
২১) সহস কমল মেং হো রহে ধারী । কীন্হ পরীক্ষা তবহিং ত্রিপুরারী ॥ | সহস্র পদ্মের মধ্যে, ভগবান শিব বিরাজমান, ত্রিপুরাসুরের পরীক্ষায়, তিনি বিজয়ী হন। |
২২) এক কমল প্রভু রাখেউ জোঈ । কমল নয়ন পূজন চহং সোঈ ॥ | ভগবান শিবের এক কমল নয়ন, তার প্রেম এবং করুণা প্রকাশ করে, ভগবান শিবের চোখের পূজা, ভক্তদের সকল দুঃখ দূর করে। |
২৩) কঠিন ভক্তি দেখী প্রভু শংকর । ভয়ে প্রসন্ন দিএ ইচ্ছিত বর ॥ | ভগবান শিবের ভক্তদের কঠিন ভক্তি, তাকে প্রসন্ন করে, তিনি ভক্তদের সকল ইচ্ছা পূরণ করেন, তাদের জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধ করেন। |
২৪) জয় জয় জয় অনংত অবিনাশী । করত কৃপা সবকে ঘট বাসী ॥ | ভগবান শিবের শক্তি, অসীম এবং অপার, তাঁর দয়া, সকলের জীবনকে আলোকিত করে। |
২৫) দুষ্ট সকল নিত মোহি সতাবৈং । ভ্রমত রহৌং মোহে চৈন ন আবৈং ॥ | দুষ্ট লোকেরা সর্বদা আমাকে ছোট করে দেখে, আমি তাদের কথায় কান দেই না, আমি আমার ভগবান শিবের প্রতি আমার বিশ্বাসে অটল থাকি। |
২৬) ত্রাহি ত্রাহি মৈং নাথ পুকারো । যহ অবসর মোহি আন উবারো ॥ | হে ভগবান, আমি আপনার কাছে সাহায্য চাই, এই কঠিন সময়ে আমাকে রক্ষা করুন, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই। |
২৭) লে ত্রিশূল শত্রুন কো মারো । সংকট সে মোহিং আন উবারো ॥ | ভগবান, আমার শত্রুদের ধ্বংস করুন, আমাকে এই সংকটে থেকে উদ্ধার করুন, আমি আপনার কাছে আবেদন করছি। |
২৮) মাত পিতা ভ্রাতা সব কোঈ । সংকট মেং পূছত নহিং কোঈ ॥ | পরিবারের সদস্যরাও সংকটে সাহায্য করতে পারে না, শুধুমাত্র ভগবান শিবই ভক্তদের উদ্ধার করেন, তাই ভগবান শিবের প্রতি ভক্তিশীল হও। |
২৯) স্বামী এক হৈ আস তুম্হারী । আয় হরহু মম সংকট ভারী ॥ | হে ভগবান, আপনি একমাত্র আশা, আমার সকল সংকটে আমাকে সাহায্য করুন, আমাকে রক্ষা করুন। |
৩০) ধন নির্ধন কো দেত সদা হী । জো কোঈ জাংচে সো ফল পাহীং ॥ | ভগবান শিব সর্বদা দান করেন,ধনী বা গরিব, সকলের জন্য, যে কেউ ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করে, সেই ফল পায়। |
৩১) অস্তুতি কেহি বিধি করোং তুম্হারী । ক্ষমহু নাথ অব চূক হমারী ॥ | হে ভগবান, আমি আপনার কাছে আমার ভুলের জন্য ক্ষমা চাই, আমি জানি যে আমি একজন পাপী, কিন্তু আমি আপনার কাছে আপনার আশীর্বাদ চাই। |
৩২) শংকর হো সংকট কে নাশন । মংগল কারণ বিঘ্ন বিনাশন ॥ | হে মহাদেব, আপনি আমাদের সকল সংকটের সমাধান, আপনি আমাদের জীবনে মঙ্গল আনেন এবং বিঘ্ন দূর করেন। |
৩৩) যোগী যতি মুনি ধ্যান লগাবৈং । শারদ নারদ শীশ নবাবৈং ॥ | যোগী, যতি, মুনিরা শরৎকালে ঈশ্বরের সাথে তাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করেন, নারদ এবং শিবও এই সময়ে ঈশ্বরের সাথে তাদের ঐক্যকে উদযাপন করেন। |
৩৪) নমো নমো জয় নমঃ শিবায় । সুর ব্রহ্মাদিক পার ন পায় ॥ | হে শিব, আপনার নামের গুণগানেই আমার জীবনের সার্থকতা, আপনার তুলনায় আমি তুচ্ছ। |
৩৫)জো যহ পাঠ করে মন লাঈ । তা পর হোত হৈং শম্ভু সহাঈ ॥ | যে ভগবান শিবের প্রতি আন্তরিক ভক্তি করে, তার জীবনে শম্ভু সর্বদা সহায়ক থাকেন। |
৩৬) রনিয়াং জো কোঈ হো অধিকারী । পাঠ করে সো পাবন হারী ॥ | যে ব্যক্তি পাপের আঁধারে হারিয়ে গেছে, সে ভগবান শিবের আলোর দ্বারা পথ খুঁজে পেতে পারে। |
৩৭) পুত্র হীন কর ইচ্ছা জোঈ। নিশ্চয় শিব প্রসাদ তেহি হোই।। | যে ব্যক্তি সন্তান লাভের আশায় থাকে, সে ভগবান শিবের কৃপায় তার আশা পূরণ করতে পারে। |
৩৮)পণ্ডিত ত্রয়োদশী কো লাবে। ধ্যান পূর্বক হোম করাবে।। | পূজার জন্য পণ্ডিতকে আমন্ত্রণ জানান। ধ্যান করে তার সাথে হোম করুন। |
৩৯) ত্রয়োদশী ব্রত করবে হমেশা। তাকে তন নহী রহয় কলেশা।। | যে ব্যক্তি ত্রয়োদশী ব্রত করে, তার জীবনে থাকে না কোন দুঃখ। |
৪০) ধূপ দীপ নৈবেদ্য চঢ়াবে। শঙ্কর সম্মুখ পাঠ সুনাবে।। | ভগবান শিবের পূজার সময় তাঁর কাছে নিবেদন করুন ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য। তাঁর সম্মুখে পাঠ শুনুন, শ্রদ্ধা নিবেদন করুন। |
৪১) জন্ম জন্ম কে পাপ নসাবে। অন্ত ধাম শিবপুর মেং পাবে।। | ভগবান শিবের ভক্তিতে জন্ম-জন্মের পাপ দূর হয়। ভগবান শিবের আশীর্বাদে ভক্তরা শেষে শিবপুরে যান। |
৪২) কহয় অয়োধ্যাদাস আস তুম্হারী। জানি সকল দুঃখ হরহু হামারী। | কবি অযোধ্যাদাস ভগবান শিবের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে ভগবান শিবের কৃপায় তার সকল দুঃখ দূর হবে। |
যেকোনো বিপদ কে দূরে রাখতে ও বিপদ থেকে রক্ষা পেতে জপ করুন বাংলায় হনুমান চালিসা (Hanuman Chalisa in Bengali)
শিব চালিশা পাঠের নিয়ম সময় ও দিন – Process And Time To Read Shiv Chalisa In Bengali
শিব চালিশা পাঠের জন্য নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম সময় নেই। আপনি যখন ইচ্ছে ভগবান শিবকে স্মরণ করে এই মন্ত্র পাঠ করতে পারেন। তবে এই মন্ত্র পাঠ করার বিশেষ উপযোগী সময় ভোরবেলা অর্থাৎ ব্রহ্ম মুহূর্ত, যা সাধারণত সকাল ৪.৩০ মিনিট থেকে সকাল ৫.১৪ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। এই সময়ে মন শান্ত থাকে এবং শক্তিশালী হয়। তাই এই সময়ে শিব চালিশা পাঠ করলে তা বিশেষ ফলপ্রসূ হয়।
শিব চালিশা পাঠের জন্য বিশেষ কোনো দিনও নেই। তবে সোমবার ভোলানাথের জন্মদিন। তাই এই দিনটিতে শিব চালিশা পাঠ করলে তা বিশেষ শুভ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বিল্ব পত্র (বেল পাতা) ও গঙ্গার জল ব্যবহার করলে ভগবান ভোলানাথ প্রসন্ন হন। তার সাথে আরতি, শিব মন্ত্র, রুদ্রাষ্টকম এবং শিব চালিশা পাঠ করলে মহাদেব খুব শীঘ্রই প্রসন্ন হয়ে থাকেন এবং আপনার সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন।
শিব চালিশা পাঠের জন্য কোনো বিশেষ বিধিনিষেধ নেই। তবে শিবের মূর্তির সামনে বসে ধূপ ধুনা জ্বালিয়ে নৈবেদ্য অর্পণ করে পাঠ করলে তা আরও ফলপ্রসূ হয়। তবে মনে রাখবেন সর্বদা পূর্ব দিকে মুখ করেই শিব চালিশা পাঠ করবেন। শিব চালিশা যদি কারও কানে পৌঁছায় তাহলে সেই ব্যক্তিও ভগবানের কৃপা পাবেন।
শিব চালিশা পাঠের উপকারিতা – Benefit Of Chanting Shiv Chalisa In Bengali
শিব চালিশা পাঠের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল:
মানসিক শান্তি ও প্রশান্তি:
শিব চালিশা পাঠের ফলে উৎপন্ন কম্পন ভক্তের মনকে শান্ত ও প্রশান্ত করতে সাহায্য করে এবং একনিষ্ঠতা, মনের একাগ্রতা বাড়াতে থাকে।। এটি মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
ধর্মীয় অনুশীলন:
শিব চালিশা পাঠ গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুশীলন এর মধ্যে পরে। এটি প্রতিদিন পাঠ করলে ভক্তদের ভগবান শিবের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠতে সাহায্য করে।
আশীর্বাদ:
শিব চালিশা পাঠ গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুশীলন এর মধ্যে পরে। এটি প্রতিদিন পাঠ করলে ভক্তদের ভগবান শিবের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠতে সাহায্য করে।
আধ্যাত্মিক উন্নতি:
মন শান্ত করার জন্যে শিব চালিশা পাঠ করা উচিত এবং এর ফলে ভগবান শিবের প্রতি ভক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি আধ্যাত্মিক উন্নতির পথ প্রশস্ত করে।
শুভ ফল লাভ:
শিব চালিশা পাঠ করলে জীবনের চাওয়া-পাওয়া, সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি ও কল্যাণ আনে । এটি সকল ইচ্ছা পূরণের শুভ দিক নির্ণয় করে।
পাপ মোচন:
শিব চালিশা পাঠ করলে অতীতের খারাপ কর্ম বা পাপ কাজ থেকে মুক্তি মেলে। এটি মোক্ষ লাভের পথ প্রশস্ত করে।
পাপের ক্ষমা:
যারা শিব চালিশা পাঠ করেন তাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি হতে থাকে। ফল স্বরূপ ভক্তদের পাপের ক্ষমা লাভের পথ প্রশস্থ হয়।
সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি:
শিব চালিশা পাঠ সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি ভক্তদের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
ইচ্ছা পূরণ:
শিব চালিশা পাঠ ভক্তদের ইচ্ছা পূরণের চাবি কাঠি। এটি ভক্তদের জীবনে সাফল্য ও প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে খুবই কার্যকারী।
FAQ: Shiv Chalisa In Bengali
শিব চালিশা কি?
ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে চল্লিশটি শ্লোক স্তোত্র একত্রে হলো শিব চালিশা।
শিব চালিশা কে রচনা করেছেন ?
শিব চালিশা রচনা করেছেন কবি অযোধ্যা দাস ।
শিব চালিশা পাঠ করার উপকারিতা কি?
শিব চালিশা পাঠ করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। ভয়, উদ্বেগ, চাপ দূর হয়। মনের মধ্যে সাহস, শক্তির সঞ্চার হয়। আধ্যাত্মিক উন্নতি, বিভিন্ন কর্মে সফলতা আসে। এছাড়াও অনেক কিছু উপকার পাওয়া যায়।
শিব চালিশা পাঠ কিভাবে করা হয়?
শিব চালিশা পাঠ করার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। যে কেউ সকাল বা সন্ধ্যা বেলা পরিষ্কার জামা কাপড় পরে শিব চালিশা পাঠ করতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্রে পূর্ব দিকে মুখ করে বসে ভক্তি ও মনোযোগ দিয়ে শিব চালিসা পাঠ করা উচিত।
শিব চালিশা কত বার পাঠ করা উচিত?
ভক্তি ভরে এক বার, তিন বার , পাঁচ বার বা তার বেশিও পাঠ করা যায়।